বর্তমান বিশ্বে মানুষের চলাচল, কাজ, শিক্ষা ও ব্যবসা আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আপনি যদি বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে চান, বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চান, বা বিদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চান—তাহলে একটি শব্দ প্রায়ই শোনা যাবে: “অ্যাপোস্টিল” (Apostille)।
কিন্তু এই “অ্যাপোস্টিল” ঠিক কী? কেন এটা প্রয়োজন? এবং কেন এটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ?
অ্যাপোস্টিল (Apostille) হলো একটি সরকার কর্তৃক জারি করা প্রামাণ্য স্ট্যাম্প বা সার্টিফিকেট, যা কোনো নথিপত্রের সত্যতা নিশ্চিত করে। এটি এমন একটি আন্তর্জাতিক সিস্টেম যা “হেগ কনভেনশন অব ৫ অক্টোবর ১৯৬১” অনুসারে চালু হয়েছে। এই কনভেনশনে সদস্যভুক্ত দেশগুলো একে অপরের সরকার কর্তৃক অ্যাপোস্টিলকৃত নথিপত্রকে বৈধ ও স্বীকৃত বলে গণ্য করে।
হেগ কনভেনশন কী?
হেগ কনভেনশন (The Hague Convention of 1961) হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা বিভিন্ন দেশের সরকারকে একটি সরলীকৃত নথিপত্র বৈধকরণ প্রক্রিয়া (simplified legalization process) গ্রহণ করতে বাধ্য করে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল—একটি দেশের সরকারি নথিকে অন্য দেশের চোখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৈধ করে তোলা, যেন কূটনৈতিক বা কনস্যুলার অফিসে গিয়ে বারবার লিগালাইজ করতে না হয়।
বাংলাদেশ ২০২৩ সালে এই চুক্তিতে সই করে এবং ২০২৫ সালের মার্চ থেকে কার্যকর হয়।
অ্যাপোস্টিল দেখতে কেমন?
একটি অ্যাপোস্টিল আসলে একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে প্রস্তুতকৃত সার্টিফিকেট বা স্ট্যাম্প, যা সাধারণত সংশ্লিষ্ট নথির পিছনে যুক্ত থাকে। আধুনিক যুগে অনেক দেশ e-Apostille বা ইলেকট্রনিক অ্যাপোস্টিল চালু করেছে, যেখানে একটি QR কোড স্ক্যান করলেই ডকুমেন্টের আসল অবস্থান ও সত্যতা যাচাই করা যায়।
-
উদাহরণ দিয়ে বুঝি
ধরুন: আপনি কানাডায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। তারা আপনাকে অনুরোধ করেছে—আপনার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, জন্ম সনদ ও পাসপোর্ট কপির অ্যাপোস্টিল কপি পাঠাতে।
আপনি যদি এগুলোর অ্যাপোস্টিল না করান, তবে ওই বিশ্ববিদ্যালয় আপনার নথি গ্রহণ করবে না। কারণ তারা নিশ্চিত হতে চায়, “আপনার জমা দেওয়া নথিগুলো আসল এবং সরকার দ্বারা সত্যায়িত”।
কোন কোন নথিতে অ্যাপোস্টিল লাগে?
বিদেশে পাড়ি দেওয়ার সময় বা আন্তর্জাতিক কোনো কাজে অংশ নিতে গেলে, সংশ্লিষ্ট দেশ বা প্রতিষ্ঠান সাধারণত আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট জমা দিতে বলে। কিন্তু সেই ডকুমেন্ট তখনই গ্রহণযোগ্য হয়, যখন তা সরকারিভাবে যাচাই ও বৈধ বলে প্রমাণিত হয়। এই যাচাইয়ের প্রমাণস্বরূপ প্রয়োজন হয় অ্যাপোস্টিল সার্টিফিকেট।
হেগ কনভেনশনের অন্তর্ভুক্ত যেকোনো দেশের অভ্যন্তরে নিচের ধরণের ডকুমেন্টে অ্যাপোস্টিল লাগতে পারে:
১. ব্যক্তিগত (Personal) নথিপত্র:
এই ধরণের নথিগুলো ব্যক্তির পরিচয়, পারিবারিক অবস্থা বা আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে প্রয়োজনীয় হয়।
| নথির ধরন | ব্যবহারের ক্ষেত্র |
| জন্ম সনদ (Birth Certificate) | বিদেশে নাগরিকত্ব, ভিসা আবেদন, শিশু ভর্তি |
| বিবাহ সনদ (Marriage Certificate) | বিদেশে বৈবাহিক সম্পর্ক প্রমাণ, পারিবারিক ভিসা |
| ডিভোর্স ডিক্রি (Divorce Certificate) | পুনরায় বিবাহ, আইনি ও পারিবারিক কাজে |
| মৃত্যু সনদ (Death Certificate) | সম্পত্তি উত্তরাধিকার, পেনশন বা বিমা ক্লেইম |
| পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (PCC) | ইমিগ্রেশন, চাকরি, রেসিডেন্স পারমিট |
| নিখোঁজ রিপোর্ট বা সিঙ্গেল স্টেটাস সার্টিফিকেট | বিদেশে বিয়ে বা ভিসা আবেদন |
২. শিক্ষাগত (Educational) নথিপত্র:
বিদেশে পড়াশোনা, স্কলারশিপ, বা চাকরির জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। নিচের ডকুমেন্টগুলোতে অ্যাপোস্টিল দরকার হয়:
| নথির ধরন | ব্যবহারের ক্ষেত্র |
| সনদপত্র (Degree Certificate) | বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি |
| মার্কশিট (Mark Sheet) | একাডেমিক যাচাই |
| প্রশিক্ষণ সনদ (Training Certificate) | পেশাদার কোর্স, স্কিল সার্টিফিকেশন |
| স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট (SLC) | মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার প্রমাণ |
| বোনাফাইড সার্টিফিকেট | বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে বর্তমান ছাত্র প্রমাণ |
| ট্রান্সক্রিপ্ট | ফলাফল ও কোর্স বিবরণ যাচাই |
এই নথিগুলোর সত্যতা শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই করে অ্যাপোস্টিল করা হয়।
৩. বাণিজ্যিক ও আইনগত (Commercial & Legal) নথিপত্র:
যারা বিদেশে ব্যবসা করতে চান বা প্রতিষ্ঠানের আইনি কার্যক্রমে জড়িত, তাদের জন্য নিচের ডকুমেন্টগুলোতে অ্যাপোস্টিল প্রয়োজন হতে পারে:
| নথির ধরন | ব্যবহারের ক্ষেত্র |
| চুক্তিপত্র (Contract/Agreement) | আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব |
| পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি (Power of Attorney) | বিদেশে আইনগত প্রতিনিধিত্ব |
| ইনভয়েস ও বিল অফ লেডিং (Invoice, Bill of Lading) | আমদানি-রপ্তানি, কাস্টমস |
| ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন/ট্রেড লাইসেন্স | বিদেশে ব্যবসা স্থাপন |
| কর রিটার্ন ও ব্যাংক সার্টিফিকেট | আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণ |
| বোর্ড রেজোলিউশন | বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি |
| মৌখিক বা লিখিত ঘোষণাপত্র (Declaration/Affidavit) | আইনি দায়িত্ব/দাবি প্রমাণ |
এসব ডকুমেন্টে অ্যাপোস্টিলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনি বৈধতা অর্জন করা যায়।
৪. স্বাস্থ্য সম্পর্কিত (Medical) নথিপত্র:
বিশেষ করে মেডিকেল ট্যুরিজম বা বিদেশে চিকিৎসার জন্য এই নথিগুলো প্রয়োজন হতে পারে:
| নথির ধরন | ব্যবহারের ক্ষেত্র |
| মেডিকেল সার্টিফিকেট | চিকিৎসার প্রয়োজন প্রমাণ |
| ডাক্তার প্রেসক্রিপশন/রিপোর্ট | ভিসা আবেদনে সংযুক্তি |
| হাসপাতাল রেফারেন্স লেটার | বিদেশে অপারেশন বা চিকিৎসার বুকিং |
এই সকল নথি হসপিটাল বা ক্লিনিক থেকে ইস্যু করে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ থেকে যাচাই করে অ্যাপোস্টিল করা হয়।
৫. ধর্মীয় ও সামাজিক (Religious & Civil) নথি:
| নথির ধরন | ব্যবহারের ক্ষেত্র |
| ধর্মান্তরিত হওয়ার সার্টিফিকেট | বিদেশে বিবাহ বা নাগরিকত্ব |
| ওয়াকফ নামা/উইল | সম্পত্তি হস্তান্তর বা আদালতে ব্যবহারের জন্য |
কোন নথিতে অ্যাপোস্টিল হয় না?
যদিও অ্যাপোস্টিল একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানকারী সিস্টেম, তবে এটি সব ধরণের নথির জন্য প্রযোজ্য নয়। অনেকেই ভুল ধারণায় মনে করেন, যেকোনো ডকুমেন্টই অ্যাপোস্টিল করা যায়—কিন্তু বাস্তবে কিছু স্পষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
নিম্নে আমরা সেই সব অগ্রহণযোগ্য নথি বা ডকুমেন্ট-এর তালিকা ও কারণ ব্যাখ্যা করছি:
❌ ১. ব্যক্তিগত বা হাতে লেখা চিঠিপত্র (Personal Letters or Handwritten Notes)
যেমন:
- নিজের হাতে লেখা ব্যাখ্যা চিঠি
- পারিবারিক চিঠিপত্র
- বন্ধু বা আত্মীয়কে লেখা সাধারণ বার্তা
কেন অ্যাপোস্টিল হয় না?
এগুলি কোনো সরকারিভাবে ইস্যু করা নথি নয় এবং কোনো প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক যাচাই নেই। সেজন্য এসব কাগজকে আন্তর্জাতিকভাবে সত্যতা যাচাই করার উপায় থাকে না।
❌ ২. ফটোকপি বা স্ক্যান কপি (Photocopies or Scanned Documents)
যেমন:
- সার্টিফিকেট বা মার্কশিটের ফটোকপি
- দাখিল করা পিডিএফ বা স্ক্যান ফাইল
শর্ত:
যদি ফটোকপি কোর্ট বা নোটারির মাধ্যমে সত্যায়িত না হয়, তাহলে সেটিতে অ্যাপোস্টিল দেওয়া হয় না।
সমাধান:
মূল কপি ব্যবহার করুন বা নির্ভরযোগ্য নোটারির মাধ্যমে কপি সত্যায়ন করিয়ে নিন।
❌ ৩. অপ্রমাণিত বা অবৈধ ডকুমেন্ট (Unverified or Fake Documents)
যেমন:
- জাল সার্টিফিকেট বা ফিকটিশিয়াস (মিথ্যা) প্রশংসাপত্র
- কোনো অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া সনদ
কেন অ্যাপোস্টিল হয় না?
এই ধরণের নথি যাচাইযোগ্য নয় এবং রাষ্ট্রের আইনি কাঠামোর বাইরে তৈরি। সরকার এগুলোর দায়িত্ব নেয় না।
❌ ৪. প্রাইভেট কোম্পানির ইন্টারনাল পেপার (Internal Company Documents)
যেমন:
- ইমেইল কমিউনিকেশন
- সেলস রিপোর্ট বা মেমো
- অফিস ম্যানুয়াল বা গাইডলাইন
ব্যতিক্রম:
যদি কোম্পানির কোনো ডকুমেন্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয় (যেমন: চুক্তিপত্র, রেজিস্ট্রেশন), তাহলে বিশেষ অনুমোদন সাপেক্ষে অ্যাপোস্টিল হতে পারে।
❌ ৫. খসড়া বা অসম্পূর্ণ নথি (Draft or Incomplete Documents)
যেমন:
- অসম্পূর্ণ চুক্তিপত্র
- স্বাক্ষরবিহীন ঘোষণা
- খালি বা আংশিক ফর্ম
কেন নয়?
অ্যাপোস্টিল কেবলমাত্র চূড়ান্ত, সম্পূর্ণ এবং স্বাক্ষরিত ডকুমেন্টে প্রযোজ্য।
❌ ৬. ব্যক্তি বা সংগঠনের নিজস্ব সার্টিফিকেট (Self-issued or Non-Governmental Certificates)
যেমন:
- ফেসবুক গ্রুপ/প্রাইভেট কোচিং সেন্টারের সার্টিফিকেট
- সোশ্যাল মিডিয়া প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট (যদি রেজিস্ট্রার্ড না হয়)
শর্ত:
এই ধরণের নথি সরকারি বা স্বীকৃত কোনো সংস্থার আওতাধীন না হলে, তা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
❌ ৭. বিদেশি ডকুমেন্ট যা বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে নেই
যেমন:
- অন্য দেশের নাগরিকের নথি যা সেই দেশের সরকার ইস্যু করেনি
- বিদেশি আদালতের রায়, যেটি বাংলাদেশে রেজিস্টার্ড নয়
কেন নয়?
অ্যাপোস্টিল কেবলমাত্র নিজ দেশের সরকারের মাধ্যমে ইস্যুকৃত বা যাচাইকৃত ডকুমেন্টে প্রযোজ্য। অন্য দেশের নথির জন্য ওই দেশের অ্যাপোস্টিল কর্তৃপক্ষের সেবা লাগবে।
অ্যাপোস্টিল বনাম কনস্যুলার লিগালাইজেশন: কী পার্থক্য?
| পার্থক্যের বিষয় | অ্যাপোস্টিল (Apostille) | কনস্যুলার লিগালাইজেশন (Consular Legalization) |
| মূল উদ্দেশ্য | হেগ কনভেনশনভুক্ত দেশের মধ্যে নথিপত্র বৈধতা সহজ করা | হেগ কনভেনশনের বাইরে থাকা দেশের জন্য বৈধতা নিশ্চিত করা |
| যে দেশে প্রযোজ্য | যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ইত্যাদি | চীন, সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE), মালয়েশিয়া ইত্যাদি |
| কারা প্রদান করে | দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MOFA) | সংশ্লিষ্ট বিদেশি দূতাবাস/কনস্যুলেট |
| প্রক্রিয়া | সরকারি যাচাইকৃত নথিতে Apostille স্ট্যাম্প বা e-Apostille প্রদান | নথিকে একাধিক পর্যায়ে যাচাই ও দূতাবাস কর্তৃক সিল প্রদান |
| প্রয়োজনীয় ধাপ | নথির প্রাথমিক যাচাই → Apostille | নোটারি → শিক্ষা/আইন মন্ত্রণালয় → পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় → দূতাবাস |
| সময় | ২–৫ কার্যদিবস (e-Apostille হলে দ্রুত) | ৭–১৫ কার্যদিবস বা তারও বেশি |
| সুবিধা | দ্রুত, ডিজিটাল, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন | অধিক কূটনৈতিক গুরুত্ববিশিষ্ট, হেগ বহির্ভূত দেশের জন্য বাধ্যতামূলক |
| নথির গ্রহণযোগ্যতা | শুধুমাত্র হেগ সদস্য দেশগুলো গ্রহণ করে | বিশ্বব্যাপী, বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায় বেশি প্রচলিত |
| ট্র্যাকিং/ভেরিফিকেশন | QR কোড ও e-Verification সুবিধা | সাধারণত ভেরিফিকেশন জটিল ও ম্যানুয়াল |
কেন NetworkBD আপনার সেরা পছন্দ হতে পারে?
অ্যাপোস্টিল প্রক্রিয়া শুনতে যত সহজ লাগে, বাস্তবে ততটা নয়! সঠিক ডকুমেন্ট নির্বাচন, প্রাথমিক যাচাই, অনুবাদ, আবেদন, ট্র্যাকিং, সরকারি ফি—সব মিলিয়ে প্রক্রিয়াটি জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং ভুলের সম্ভাবনাপূর্ণ।
তাই এই সব জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে এখনই যোগাযোগ করুন NetworkBD-এর সঙ্গে।
✅ আমরা যা করি:
- আপনার পক্ষে সম্পূর্ণ অ্যাপোস্টিল প্রক্রিয়া পরিচালনা করি
- প্রয়োজনে ডকুমেন্ট অনুবাদ ও নোটারাইজেশন করি
- সময়সীমার মধ্যে সরকারি যাচাই সম্পন্ন করি
- প্রয়োজনে e-Apostille ট্র্যাকিং নম্বর প্রদান করি
- আপনাকে সঠিক দেশ অনুযায়ী অ্যাপোস্টিল নাকি কনস্যুলার লিগালাইজেশন লাগবে – সে বিষয়ে পরামর্শ দিই
অ্যাপোস্টিল সম্পর্কিত প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)
অ্যাপোস্টিল নকল করা সম্ভব কি?
বাংলাদেশ কি হেগ কনভেনশনের সদস্য?
Apostille সার্টিফিকেট কি ডিজিটালি যাচাইযোগ্য?
Hague e-APP (Electronic Apostille Program) এই ডিজিটাল যাচাইকরণ পদ্ধতির অংশ। এটি Cybersecurity Guideline of Digital Security Act, 2018 অনুসারে নিরাপদ।

